রাত পোহালেই প্রথম দফার ভোট আসামে। ৪৭ কেন্দ্রে ভোট কাল। কালকের ভোটেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল,কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রিপন বোরা সহ ২৬৪ জন প্রার্থীর। সেই কারণেই আসামের ১২টি জেলায় আরো আঁটোসাটো করা হল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ।
বৃহস্পতিবার প্রথম দফার নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে আসামে। এইবারের ভোটে চা বাগান শ্রমিক, আদিবাসী ভোট এবং প্রথম ভোটারদের ভোটই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ। ২০১৬ এর নির্বাচনে ৪৭টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসন পেয়েএকপ্রকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী হয়েছিল বিজেপি। আসামের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নীতিন খান্ডে জানান “স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ এবং মুক্তভাবে ভোটের জন্য যা কিছু ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব সবকিছুই নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ৮১০৯৮১৫ জন ভোটার ১১৫৩৭টি ভোটকেন্দ্রে প্রয়োগ করবেন তাঁদের গনতান্ত্রিক অধিকার।” তিনি আরো জানান ” বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার জন্য। শুধু ভোট কেন্দ্রগুলিই নয়, আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় সীমানাগুলিও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা”।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ,রাজনাথ সিংয়ের মতন হেভিওয়েট বিজেপি নেতারা বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন আসামে। শুধু বিজেপিই নয়, কংগ্রেসও প্রচার চালিয়েছে জোর কদমে। কংগ্রেসের প্রার্থীদের হয়ে আসামে প্রচার করে গেছেন রাহুল গান্ধী,প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রমুখ কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। মে মাসের ২ তারিখে ভোটের ফল প্রকাশিত হবে আসামে। কী হবে আসামের ভবিষ্যত, তা জানতে এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।