রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক হওয়াই এবার সেই সমস্যা সমাধানে আসরে নামল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লিতে বাতাসে দূষণের বিপজ্জনক মাত্রায় আজ অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের এই শীর্ষক শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, “লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। মানুষ বাঁচবে কীভাবে? গাড়ি, ধুলো, বাজি থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে। এমন কিছু করুন, যাতে ২-৩ দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখলাম, আপনারা ব্যবস্থা নিন।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন যে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আদালত কক্ষেও প্রত্যেককে মাস্ক পরে থাকতে হচ্ছে।
এদিন সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে জানান, “ফসল-অবশেষ পোড়ানোয় ধোঁয়া হচ্ছে। পঞ্জাবের কৃষকদের ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিষয়ে পঞ্জাব সরকারকেও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।” এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সলিসিটরকে ভর্ৎসনা করে বলেন, “শুধু কৃষকদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন, ৭০ শতাংশ দূষণের জন্য কে দায়ী? গত ৭ দিন ধরে দিল্লিতে বাজি পোড়ানো হয়েছে, সেই দায় কার?আমাদের জানান কীভাবে বায়ু মানের সূচক ৫০০ থেকে ২০০-তে নামানো যায়?” এদিন সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় দিল্লি সরকারকেও। দিল্লি সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “রাজধানীতে স্কুল, কলেজ খোলা। আর পড়ুয়ারা দূষণের মুখে পড়ছে। এটা কেন্দ্রের নয় আপনাদের দায়িত্ব। এর জন্য কী করেছেন?” রাজধানীর দূষণ রোধে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে সত্ত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।