আজ দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ ৯টি রাজ্যের জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই বৈঠকে ফল তো কিছু মিললই না, উলটে ডেকে অপমান করা হল, এমনই অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান “কোনোরকম কথাই বলতে দেওয়া হয়নি মুখ্যমন্ত্রীদের। রাজ্যের ভ্যাকসিন, অক্সিজেন সংকট, ওষুধ এই সমস্ত ব্যাপারে অনেক কথাই বলার ছিল আমাদের।কিন্তু উনি নিজে ছায়ারা আর কাউকেই কিছু বলার সুযোগই দিলেন না”। মমতা আরও বলেন যে ” একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে মোদী সরকার। আমি বলেছিলাম ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিলে দেশের সবার ভ্যাক্সিনেশন সম্ভব।কিন্তু তা না করে বড় বড় বিল্ডিং,স্ট্যাচু বানানো হচ্ছে দেশে। প্রধানমন্ত্রীর এতই ভয় যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলারও সাহস পাননা। উনি বললেন যে দেশে করোনা কমে গেছে।তাহলে এত মানুষ মরছে কীভাবে জবাব দিন”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানান যে পুতুলের মতন বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীরা।কিছু বলার সুযোগই দেওয়া হয়নি তাঁদের। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও মোদীকে একহাত নেনে তিনি। তিনি বলেন রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকিয়ে দিচ্ছে,অথচ উত্তর প্রদেশে যারা নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছেনা কেন? নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র বেছে বেছে বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিযোগও আনেন তিনি। বারবার প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগও করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যে ভোটের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেই মমতা-মোদী। এই বৈঠক যে কোনোভাবেই সৌজন্যে মূলক হলনা তা বলাই বাহুল্য। আজকের এই বৈঠকের পর আরও বাড়ল কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বৈঠক শেষে মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 54 Second