বুধবার রাতেই বাংলার মাটি ছুঁয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় নেতৃত্বদের নিয়ে বাঁকুড়া উড়ে যান তিনি। সেখানে পুয়াবাগান মোড়ে বীরসা মুণ্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন অমিত শাহ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, মমতা সরকারের মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে।
তিনি বলেন,’বাংলার মানুষের মধ্যে আমি পরিবর্তনের আসা দেখতে পাচ্ছি, যা একমাত্র মোদি সরকারের দ্বারাই সম্ভব। ৮০ শতাংশ প্রকল্পের সুবিধা বাংলার মানুষ পাচ্ছেন না। কৃষকরা কিছু পাননি, মানুষ স্বাস্থ্যের সুবিধা পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তারপরই তিনি সোজা রওনা দেন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে। সেখানে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কার্যকর্তাদের সঙ্গে দলীয় বৈঠক সেরে মধ্যাহ্নভোজ সারতে আদিবাসী গ্রাম চতুরডিহিতে হাজির হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন আদিবাসী পরিবারের মহিলারা। তাঁকে বরণ করে নেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবারের মহিলারা। স্লোগান ওঠে, ‘বন্দেমাতরম’। সেখানেই রীতিমত মাটিতে বসে কলাপাতায় পাতায় মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ।

মেনুতে ছিল ভাত, রুটি, বিউলির ডাল, আলুভাজা, আলুপোস্ত, পোস্তর বড়া, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি ইত্যাদি। রুটির পাশাপাশি হাত দিয়ে মেখে ভাতও খান। তবে মিষ্টি খাননি বর্ষীয়ান ওই রাজনীতিবিদ। খাওয়া–দাওয়া শেষে হাত ধুইয়ে দেওয়ার পর তোয়ালে এগিয়ে দেন গ্রামের এক আদিবাসী মেয়ে। শুধু তাই নয় অমিত শাহকে নিজে হাতে মুখ মুছিয়ে দেন ওই তরুণী। খাওয়া–দাওয়া শেষে ওই তরুণীকে ডেকে হাতে ভালাবাসা স্বরূপ ৫০০ টাকার একটা নোট দেন অমিত শাহ। মন্ত্রীকে প্রণাম করে তাঁর আশীর্বাদ নেন ওই তরুণী। এর পর বাড়ির কর্তা বিভীষণবাবুকে উত্তরীয় পরিয়ে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। এরপর খানিক সময় কাটিয়ে ফের রবীন্দ্রভবনের উদ্দেশে রওনা দেন অমিত শাহ। সেখান থেকে আজই কলকাতা ফেরার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।