আরিয়ান কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করল পুণে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত জানিয়েছেন, “মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবি-র অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করা হয়েছে।” যদিও পুরনো একটি মামলার জেরেই তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৮ সালের গোসাভির বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলায় লুক আউট নোটিস জারি করেছিল পুণে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল গোসাভি। বেশ কিছুদিন আগে এই নিখোঁজ গোসাভি জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে তিনি সর্বদা ‘আতঙ্কে’ রয়েছেন। শেষপর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে লখনউে আত্মসমর্পণের কথাও বলেছিলেন তিনি। যদিও পরে লখনউ পুলিশের তরফ থেকে গোসাভির সেই দাবি নাকচ করা হয়।
মুম্বইয়ের কর্ডেলিয়া প্রমোদতরীতে এনসিবি যখন হানা দেয় তখন সেই মুহূর্তে গোসাভি ওই প্রমোদতরীতে উপস্থিত ছিলেন বলেই অভিযোগ। পরে সেদিন এনসিবি-র অফিসে বসে আরিয়ান খানের সঙ্গে নিজস্বীও তোলেন তিনি, যার জেরে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। রবিবার গোসাভির দেহরক্ষী হিসাবে দাবি করা প্রভাকর সইল ঘুষ সংক্রান্ত লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর এবং এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। প্রভাকর সইলের দাবি, ফোনে আরিয়ান মামলায় ২৫ কোটি টাকা ঘুষের ব্যাপারে গোসাভিকে কথা বলতে শুনেছিলেন তিনি। তার অভিযোগ, সেই ২৫ কোটির মধ্যে আট কোটি টাকা এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথাও চলছিল। যদিও বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোসাভি। এই ঘুষের ব্যাপারে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “প্রথম বার এই বিষয়টি আমি শুনছি।” তাঁর আরও দাবি, ওয়াংখেড়েকেও তিনি ২ অক্টোবরের আগে চিনতেন না