দেবভূমি যোশীমঠে ভূমি অবনমন ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে চওড়া ফাটল। ইতিমধ্যে যোশীমঠের ৭৩১টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘর ছেড়েছেন ৬৮ টি পরিবারের সদস্যরা। রাতারাতি ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন প্রচুর মানুষ। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
এই পরিস্থিতির মধ্যে যোশীমঠের বাসিন্দাদের শিকড় যাতে উপড়ে না যায়, তার জন্য একটি মডেল শহর গঠনের প্রস্তাব দিল ‘সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট’। ভাঙন রুখতে এই সংস্থার তরফে একটি বিপর্যয় প্রতিরোধক মডেল শহর তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে করে উপকৃত হবেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই উত্তরাখণ্ডের উপরিভাগে ব্যাপক তুষারপাত হয়েছে। যার জেরে যোশীমঠের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। যোশীমঠেও বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। বেড়েছে ঠান্ডাও। ফলে বাড়ি ছেড়ে যে সব বাসিন্দা ত্রাণশিবিরে রয়েছেন, তাঁদের কষ্ট আরও বেড়েছে।
বুধবার রাতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে যোশীমঠ শহর পরিদর্শনে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। এলাকা পরিদর্শনের পর স্থানীয়দের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, বাড়ি ভাঙার কাজে বাধা দেওয়া বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে যত দ্রুত সম্ভব ৪৫ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন