একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দু’শোর বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সেই জয়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। তৃতীয়বার বঙ্গজয়ের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে টুইট করে বিশেষ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে আরও অনেক লড়াই লড়তে হবে এবং জিততে হবে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/05/WhatsApp-Image-2023-05-02-at-18.06.37.jpeg)
বাংলায় এখন প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আসন সংখ্যার নিরিখে বামেরা দুর্বল হওয়ার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন রাজনৈতিকভাবে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি শিবির। শুধু বাংলার রাজনীতিতেই নয়, একইসঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতেও ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে অবিজেপি দলগুলিকে একছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমন অবস্থায় মমতার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একটি ভিডিয়ো বার্তায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দেশে একটা পরিবর্তন আসা জরুরি। সামনের নির্বাচন হবে পরিবর্তনের ভোট। যেটা ২০২৪-এ হবে দিল্লিতে। ১০ বছর ধরে একটা সরকার শুধু ভাঁওতাবাজির উপর চলছে। সন্ত্রাস করেছে। নোটবন্দি করেছে। এখন আবার এআরসি-র অত্যাচার শুরু করেছে। আমি সব বিরোধীদের বলব, আসুন, একজোট হোন। আমি নিশ্চিত, বিজেপি তাহলে এবার হারবেই। কারণ পৃথিবীতে এমন কোনও শক্তি নেই যা মানুষের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে পারে। মানুষ-ই হচ্ছে প্রথম পছন্দ।’
উল্লেখ্য, সামনে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট হলেও, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে দিল্লির মসনদ থেকে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে সরানোই যে তাঁর একমাত্র লক্ষ্য, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের সলতে পাকাতে ইতিমধ্যে কলকাতায় এসে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, জেডি(এস) নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। তাই জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব অন্য আঞ্চলিক দলগুলিও বুঝতে শুরু করেছে। এদিনের বার্তা তাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা বলেই মনে করছেন অনেকেই।