গতকাল রাতে হঠাৎ করেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁর পরিবর্তে রাজ্য সভাপতি পদে এসেছেন ডঃ সুকান্ত মজুমদার। তবে রাজনৈতিক মহলের সূত্রে খবর, এখনও মেয়াদ শেষ হয়নি তাঁর। কিন্তু সময়ের আগেই গুরু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল তাঁকে। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে, ‘এখন সাংসদ হিসেবে রয়েছি। দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে থাকব। যারা আমাকে সহ-সভাপতি পদ দিয়েছেন, তাঁরাই ঠিক করবেন দেশের কোথায় কী কাজে লাগাবেন! এতদিন রাজ্যের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম, রাজ্য জুড়ে ঘুরে কাজ করেছি।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল রাত্রে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা মাত্রই দিলীপ ঘোষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পাশাপাশি তিনি বিজেপির সাংগঠনিক কে যাবে কে আসবে তা নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিলীপদা বহুবছর বাংলার মানুষের জন্য অনেক খেটেছেন। এমনকি এখন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবে ভালো কাজ করুন, সুখে থাকুন। আর অবশ্যই সুকান্ত মজুমদারকে আমার শুভেচ্ছা জানাব। তবে মজা করে বলতে পারি, দিলীপদা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি’ লিখেছেন। এটা লেখার কী মানে বুঝলাম না। হয়তো আমার পাঠানো বর্ণ পরিচয়টা ওঁর কাজে লাগবে।’ যদিও দিলীপ ঘোষ তাঁর বিরোধিতা করে বলেছেন,’ আমার ঠিক জানা নেই উনিক কার লেখা পড়েছেন। আমার লেখা পড়ে দেখুক, আমি ঠিক কি লিখেছি। সর্বভারতীয় সহ সভাপতিই লেখা আছে।’ তবে বাবুল দিলিপের এই ঠান্ডা যুদ্ধ স্বভাবতই প্রশ্নের ঝড় তুলছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি দিলিপের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে তৃণমূলে যোগদান বাবুলের? নাকি শাসক দলে যোগদান করেই এই পরিবর্তন।