সোমবার সন্ধ্যায় নিজের সর্বশক্তি নিয়ে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় তাউকতে। সেই সময় এর গতিবেগ ছিল ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। ধ্বংস লীলা চলে ভারতের পশ্চিম উপকূলের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও। স্থলভাগে প্রবেশ করার পর থেকে অবশ্য শক্তি হারাতে থাকে ঘূর্ণিঝড়টির। শক্তি হারিয়ে “অতি শক্তিশালী” ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে এটি প্রবেশ করে দিউয়ের পূর্ব উপকূলে। ভয়াবহ এই ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে কার্যতই বিপর্যস্ত পশ্চিম উপকূল। আজ সকালে অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী তাউকতের দাপটে কেরলে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০০ এর ও অধিক বাড়ি। কর্ণাটকে ঝড়ের দাপটে মৃত ৮জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১২১ টি গ্রাম। গুজরাটে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৬৫০০ কুঁড়ে ঘর। বিধ্বস্ত মুম্বাইও। আরব সাগরে ঝড়ের কারণে ডুবে যায় একটি জাহাজ। যার ফলে মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের। নৌসেনা উদ্ধারকার্য চালিয়ে কোনোক্রমে উদ্ধার করে ১৪৬ জনকে। মুম্বাইতে এখনও নিখোঁজ ১২৭ জন। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও ভেঙে পড়েছে অজস্র গাছ পালা,এবং ঘর বাড়িও। জলমগ্ন উপকূলবর্তী বেশ কিছু গ্রাম। ঘুর্ণিঝড়ের ফলে ৫৫টি বিমান বাতিল করা হয় মুম্বাইতে। পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ৪৪টি টিম। উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে নৌসেনাও।
‘তাউকতে’র ধ্বংসলীলায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ । এম ভারত নিউজ
Read Time:2 Minute, 5 Second