সংঘাত বাড়ল রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের। এবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকে সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিয়ম মেনে সুহৃতা পালকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পরই উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। ইউজিসির নিয়ম মেনে উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হননি সুহৃতা পাল। তাহলে কেন তাঁকে সরানো হবে না? এই প্রশ্ন তুলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে জবাব দিতে বলেছিলেন আচার্য বোস। জবাবে সন্তষ্ট হননি আচার্য। এরপরই স্বাস্থ্য সচিবকে রাজভবনের তরফ থেকে উপাচার্যকে সরানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আচার্যের যুক্তি সার্চ কমিটি দ্বারা নিয়োগ হলেও সেই সময় কমিটিতে থাকতেন না ইউজিসি-র কোনও প্রতিনিধি। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইউজিসির নিয়ম না মেনে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে রাজভবন। তবে প্রশ্ন উঠছে, উপাচার্য সুহৃতা পাল এখন কী করবেন? তিনি কি আদৌ সরবেন পদ থেকে? নাকি হাঁটবেন আইনি পথে। কারণ রাজভবনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন উপাচার্য। ইতিমধ্যেই তিনি আইনি পরামর্শ নিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর।
অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপালের তিক্ততা চলছে। রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য বোস। সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্যের নিয়োগ করা উপাচার্যদের স্বীকৃতি দেবে না রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর, এমনটাই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই ঘটনার পর রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। এর বিরোধিতা করে ব্রাত্য বলেছিলেন, “এই ঘটনা উচ্চশিক্ষায় হস্তক্ষেপ। রাজভবন থেকে আমাদের রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় নজিরবিহীন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, সম্প্রতি রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম মজুমদার পদত্যাগ করেছেন। গৌতমকে একতরফাভাবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ইস্তফা দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। তাঁকেও অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস।