অদ্ভুত রহস্যে মোড়া দেশ মিশর। এখানে যেমন রয়েছে বিশ্বের সব থেকে বড় পিরামিডগুলি ঠিক তেমনি রয়েছে হাজার হাজার বছরের পুরনো বিভিন্ন মমি। অভাবনীয় ও ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মিশরের রাজধানী কায়রোতে। এই শোভাযাত্রায় মূল আকর্ষণ হিসেবে অংশ নেবেন নাকি হাজার হাজার বছর আগের ২২ জন শাসক। মূলত এতদিন তারা মমি হিসাবে একটি মিশরীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন কিন্তু কিছু কারণবশত তাঁদেরকে স্থানান্তর করানো হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূরে আরেকটি নতুন জাদুঘরে ।মিসরীয় সভ্যতার ওপর নির্মিত নতুন জাদুঘর, যার নাম ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইজিপশিয়ান সিভিলাইজেশন। এখন থেকে তারা সেখানেই থাকবেন। হ্যাঁ, প্রাচীন শাসকদের মমি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নতুন ঠিকানায়, তার জন্য অনুষ্ঠিত হতে চলেছে শোভাযাত্রা, খরচ হবে কয়েক মিলিয়ন ডলার।
শুধু তাই নয় এই শোভাযাত্রা সরাসরি অনলাইনেও সম্প্রচার করা হবে। এই শোভাযাত্রা নিয়ে মিশরের সাধারণ মানুষের উৎসাহের শেষ নেই ।এসব রাজা রানির মধ্যে রয়েছেন সপ্তদশ শতাব্দীর রাজা দ্বিতীয় সেকেনেনরে থেকে শুরু করে খৃস্টপূর্ব দ্বাদশ শতাব্দীর রাজা নবম র্যামসেসও। বলা হচ্ছে, শোভাযাত্রা তে ২২ জন রাজা-রানী থাকবেন ঠিকই, তবে শোভাযাত্রায় প্রধান আকর্ষণ রাজা দ্বিতীয় র্যামসেস। তাঁকে নিয়েই মানুষের বেশি আগ্রহ। তিনি ৬৭ বছর শাসন করেছেন এবং নিউ কিংডমে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ফারাও। বলা হয় যে তিনিই প্রথম কোনও শান্তি চুক্তিতে সই করেছিলেন। আরেকজন রানি হাটসেপসুট। ইতিহাসের পাতা উল্টালে এই নামটা সকলেই মনে করতে পারবেন, বিশেষত তিনি বিখ্যাত কারণ তাঁর সময়ে কোনও নারীর ফারাও হওয়ার প্রথা না থাকলেও তিনি শাসক হয়েছিলেন।