৭ ম তথা শেষ পর্যায়ের ভোট গ্রহণ আগামী ১ লা জুন।দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি লোকসভা কেন্দ্রতে (জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর ও ডায়মন্ড হারবার) ভোট গ্রহন ১লা জুন। আর এখন চলছে শেষ পর্যায়ের প্রচার। আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুক্রবার মথুরাপুর ও জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রে তিনটি জনসভায় আসার কথা। চলছে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি তিনটি এলাকায়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ আদৌ এই বাংলায় প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া জনিত আবহাওয়ার প্রভাবে ইতিমধ্যেই সুন্দরবন এলাকায় পড়তে শুরু করেছে। আর তারই প্রভাবে বদল হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভার সময়সূচী।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে সাগর বিধানসভার সাগর কালি গিরি মন্দির সংলগ্ন মাঠে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরে সেখান থেকে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি হালদারের সমর্থনে সকাল দশটায় রায়দীঘি বিধানসভার রায়দীঘি স্টেডিয়ামের মাঠে আরও একটি জনসভায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তার পরে এদিনের তৃতীয় জনসভাটি হবে বেলা ১১ টায় জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রতিমা মন্ডলের সমর্থনে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার ক্যানিং স্টেডিয়ামের মাঠে।
সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় ভোটের প্রচার পর্বে বারবার ব্যাঘাত ঘটছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতে এই বদল বলে জানা গেল। ইতিমধ্যেই ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার সময়সূচী পরিবর্তনে কথা জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বংকিম হাজরা, রায়দিঘির বিধায়ক অলক জলদাতা ও ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস।বৃহস্পতিবার সাগর ও রায়দীঘির সভাস্থল পরিদর্শন করে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বাপি হালদার।
ক্যানিং এর সভাস্থল পরিদর্শন করে জয়নগর কেন্দ্রের প্রার্থী প্রতিমা মন্ডল।একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে সভাস্থল গুলো পরিদর্শন করে গেছে। এস পি, অ্যাডিশানাল এসপি, এস ডি পি ও, আইসি সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন সভাস্থলে।সুন্দরবন পুলিশ জেলার ও বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশের উচ্চ পদস্ত আধিকারিকরা রয়েছেন সভাস্থল এলাকায়।আবহাওয়া খারাপের চিন্তা যেমন রয়েছে তেমনই তাঁরা খতিয়ে দেখছেন নিরাপত্তা জনিত দিকটিও।
অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম খোলার পরিকল্পনাও রয়েছে সেখানে। আবহাওয়া থেকে ধরে নিরাপত্তা সমস্ত দিকেই এখন নজর রাখছে প্রশাসন। শুক্রবার বিকালের পর থেকে আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।আর সেই পরিস্থিতির দিকে এখন নজর প্রশাসনের।