‘বীরভূমের বাঘ’কে দিল্লিতে নিয়ে জেরা শুরু করেছে ইডি। আর তারপরই তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডল ৬ দিনে কিনেছিলেন প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি! ২০১৪-র ১০ নভেম্বর থেকে ২০১৪-র ১৭ নভেম্বরের মধ্যে কেনা হয়েছিল এই বিপুল পরিমান সম্পত্তি। ওই সম্পত্তির মধ্যে বোলপুরের কালিকাপুর মৌজাতেই সিংহভাগ জমি রয়েছে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের কাছে কোথা থেকে এল সেই বিপুল পরিমাণ টাকা? তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল এই বিপুল জমি। অনুব্রত কোনও চাকরি করেন না, তিনি কোনও ব্যবসাও করতেন না, একজন রাজনৈতিক নেতা হয়ে কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি, তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG-20230308-WA0001.jpg)
বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখিয়ে জমি কেনাবেচা করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। দাবি ইডির। স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, ভোলে ব্যোম চালকল এবং নিজের নামেও অনুব্রত সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি ইডির। সূত্রের খবর, তাঁর এক সময়ের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেন কোটি কোটি টাকার ‘প্রোটেকশন মানি’ নিতেন গরু পাচারের জন্য। অনুব্রতর নির্দেশেই সেই টাকা নিতেন সায়গল। শুধু ‘প্রোটেকশন মানি’ই নয়, গরুপাচারের উপর মাসে কমিশনও নিতেন অনুব্রত। আর সেই টাকাও জমা পড়ত ছায়াসঙ্গী সায়গলের কাছেই।
এদিকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার পর এই প্রথমবার আজ বৃহস্পতিবার আইনজীবীর সঙ্গে হবে সাক্ষাৎ হয় অনুব্রত মণ্ডলের। আদালতের নির্দেশে রাম লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখানেই কেষ্টকে দেখে আজও ‘চোর চোর’ স্লোগান ওঠে। দোলের দিন এসএসকেএম হাসপাতালেও অনুব্রতকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সূত্রের খবর অনুব্রতকে দিয়ে বয়ান লেখাতে গিয়ে ফ্যাসাদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও। লিখতে পারেন না কেষ্ট! এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। বয়ানের শেষে শুধু সইটুকু করেছেন বলে খবর ইডি সূত্রে খবর। অবশেষে নিরপেক্ষ সাক্ষী এনে বয়ান লেখানো হয়। অনুব্রত মণ্ডল যে কদিন ইডির হেফাজতে থাকবে ওই নিরপেক্ষ সাক্ষীকে দিয়েই তাঁর বয়ান লেখানো হবে এবং গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ড করা হবে। দুজন বাঙালি আধিকারিককে দিয়েই অনুব্রত মণ্ডলের গোটা জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। ইডির জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় ওই দুই বাঙালি অফিসারই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অনুব্রতকে। কারণ ভাষাগত সমস্যা।