জন্মদিন মানেই কেক কেটে সারাদিন বন্ধু বান্ধব ও পরিবারের সাথে মজা হৈ-হুল্লোড় জমিয়ে খাওয়া দাওয়া বেশির ভাগ মানুষই এটাই করে থাকেন, তবে তমলুকের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সনৎ কুমার মাইতি ও দেবশ্রী মাইতির একমাত্র পুত্র স্পন্দন মাইতির জন্মদিনের চিত্রটা ছিল অন্য রকম। প্রতিবারেই জন্মদিনের দিনটা কাটতো বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু এবছর পড়াশোনার চাপ ও পরিবারের বিভিন্ন কাজের ফলে সে সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাই ১২ বছরের ছেলে স্পন্দন তার বাবা-মাকে জানায় তার জন্মদিনে কেক না কেটে যদি বিনা মূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির শিবির করা যায় তাহলে সেটাই তার কাছে এবারের সব থেকে বড় উপহার হবে বাবা-মার থেকে।
সেই মত মঙ্গলবার সকালে জন্মদিন উপলক্ষে বাড়িতেই বসে বিনা ব্যয়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবির। বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষ ও মহিলা মিলে প্রায় ৩০০ জন মানুষ এদিনে শিবিরে বিনা ব্যয়ে চক্ষু পরীক্ষা করান। ছেলেকে এই ধরনের উপহার দিতে পেরে খুশি বাবা ও মা। জন্মদিনে কেক কাটা না হলেও অন্য এই ধরনের উপহার পেয়ে আপ্লুত ১২ বছরের ছোট্ট ছেলে স্পন্দন। জন্মদিন উপলক্ষে এই বিনা ব্যয়ে চক্ষু পরীক্ষা করাতে পেরে খুশি শিবিরে আসা সাধারণ মানুষ জন।