উষ্ণায়ন ও দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা ক্রমেই ভয়ানক ভাবে বেড়ে চলেছে। গত বছর মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা-বৃদ্ধি সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে তুলেছে।
মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা-বৃদ্ধির দিক থেকে দেখা গেছে সভ্যতার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল ২০২০ সাল। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০১৯। গত ৬ বছর ধরেই মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা-বৃদ্ধি তার আগের বছরকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
আমেরিকার কলোরাডোয় ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফেরিক রিসার্চ’-এর সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে।
ক্রমে মহাসাগরগুলির এই তাপমাত্রা-বৃদ্ধির ফলে, পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে সেই সবেরও উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, আশঙ্কাজনক ভাবে মহাসাগরগুলির জলের তাপমাত্রা-বৃদ্ধির ফলে ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন, টাইফুন, টর্নেডোগুলি অনেক বেশী শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যার দরুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিবৃষ্টির পরিমাণ।
উষ্ণায়নের ফলে মহাসাগরগুলির জলের উত্তরোত্তর তাপমাত্রা-বৃদ্ধির ফলে গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বরফের পুরু চাঙড় গুলিকে খুব দ্রুত হারে গলিয়ে দিতে শুরু করেছে। গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার এক লক্ষ কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে।এর পরিণতি স্বরূপ মহাসাগরগুলির জল-স্তর আশঙ্কাজনক ভাবে উপরে উঠে আসছে।
বাতাসে যে পরিমাণে বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস মিশছে তার এক-তৃতীয়াংশই মহাসাগরগুলি শুষে নিচ্ছে। এর ফলে, মহাসাগরগুলির জল আরও বেশি পরিমাণে লবণাক্ত হয়ে উঠছে। পরিণতিতে এক-চতুর্থাংশ সামুদ্রিক প্রাণীর বাসস্থান যেখানে সাগর সেই , মহাসাগরের প্রবাল গুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এই লবনাক্ত জলে অসংখ্য প্রজাতির মাছের মৃত্যু হচ্ছে। পাশাপাশি বন কেটে বসতি বানানোর ফলে পরিবেশে যে বাড়তি তাপশক্তি নির্গত হয়েছে, গত ৫০ বছরে তার ৯০ শতাংশই শুষে নিয়েছে সাগর, মহাসাগরগুলি।
যার ফল স্বরূপ আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। তাই এত প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে মানুষের জীবনে।
তাপমাত্রা বাড়ছে, আগামী দিনে বিশ্বে আসছে ভয়াবহ অবস্থা ! এম ভারত নিউজ
Read Time:3 Minute, 12 Second