ফের করোনায় আক্রান্ত হল জলপাইগুড়ির এক ছোট্ট শিশু। শুধু শিশুর শরীরেই নয়, পাশাপাশি তার মায়ের শরীরেও করোনা সংক্রমনের খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, কিছুদিন আগেও ছোট্ট এক শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল , যা স্বভাবতই চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে। মূলত পূর্বঘোষণা অনুসারে অক্টোবরের পর থেকেই তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। এমনকি এও জানানো হয়েছিল, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ফলে সর্বোচ্চ সংক্রমিত হতে পারে শিশুরা। আর এইভাবে পর পর শিশুর শরীরে করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় পড়ছেন চিকিৎসকরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই মালদা, জলপাইগুড়ি ,আলিপুরদুয়ার এবং উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে শিশুদের জ্বরের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু শিশুও। এমনকি এই জ্বরের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভিন রাজ্যেও। ঝাড়খন্ড ও উত্তর প্রদেশেও এই জ্বরের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই সমস্ত শিশুদের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। জানানো হয়েছে তি,ন থেকে চার দিনের বেশি কোনও শিশুর শরীরে জ্বরের উপস্থিতি দেখলে, দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে তাকে।এছাড়াও শিশুর অক্সিজেনের মাত্রা বারংবার পরিমাপ করার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কালই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। ইতিমধ্যে, স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শিশুচিকিৎসার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে সমস্ত শিশু বিভাগীয় চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কোনও শিশুকে যাতে চিকিৎসার জন্য এসে বাড়ি ফিরতে না হয়, সেজন্য শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। করোনাকালীন তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা থেকেই আগাম এই সর্তকতা নিল স্বাস্থ্য দপ্তর।