নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর : অবশেষে নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের বনশ্রী খাঁড়া। দুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা বনশ্রী খাঁড়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে বনশ্রীদেবী তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেননি, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের । শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের পিছনেও তাঁর অন্তর্ঘাত রয়েছে, এমন দাবীও করা হয় তৃণমূল সূত্রে। এই কারণেই তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেয় দল। বুধবারই তাঁর বিরুদ্ধে বিডিও অফিসে অনাস্থাপত্র জমা দেন পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য। অনাস্থাপত্র জমা পড়ার বিষয়টি জেনে এদিন বিডিও অফিসে গিয়ে ইস্তফা পত্র জমে দেন বনশ্রী খাঁড়া।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-13-at-11.43.21.jpeg)
বিধানসভা ভোটের পর নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় এই প্রথম ইস্তফা দিলেন কোনও পঞ্চায়েত প্রধান। বনশ্রীদেবীর ছেলে সুদীপ খাঁড়া ছিলেন প্রাক্তন নন্দীগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু, বিজেপির সঙ্গে তাঁর গোপন যোগাযোগের অভিযোগে দল থেকে অপসারণ করা হয় তাঁকে। এবার ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হল বনশ্রী খাঁড়াকেও। এব্যাপারে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, “বনশ্রীদেবী দলবিরোধী কাজ করেছেন। দলে থেকেও দলের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য তাঁকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনাস্থা আনারও তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তারমধ্যেই বুধবার তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।” অন্যদিকে বনশ্রীদেবীর অবশ্য দাবী শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
ভোটের ফল প্রকাশের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে দলবিরোধী কাজে যুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের সদস্য এবং পদাধিকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তৃণমূল । নন্দীগ্রাম এলাকায় এই প্রথম দল বিরোধী কাজের অভিযোগ উঠল কোনো পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে অবশ্য রাজ্যের মন্ত্রী তথা বনশ্রী খাঁড়ার মেয়ে শিউলি সাহার কোনোরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।