না ফেরার দেশে চলে গেলেন কেরালার প্রবীণতম শিক্ষানবিশ ভাগীরথী আম্মা। মাত্র দুই বছর আগেই ১০৫ বছর বয়সে সাক্ষরতার পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন এই বর্ষীয়ান আম্মা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বহুমাত্রিক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর ১০৭ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতার কারণে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়ীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি রাজ্য পরিচালিত কেরালা রাজ্য সাক্ষরতা মিশন দ্বারা পরিচালিত চতুর্থ মানের সমমানের পরীক্ষা উত্তীর্ণ করে সবচেয়ে পুরাতন শিক্ষার্থী হয়ে ইতিহাসের চিত্রনাট্য রচনা করেছিলেন। মহিলা সাক্ষরতা মিশন দ্বারা পরিচালিত, কোল্লামে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। জানা যায় তিনি গণিতে ২৭৫ নাম্বারের মধ্যে ২০৫ নম্বর পেয়ে, এক অনন্য নজির তৈরি করেছিলেন।
পরীক্ষকরা জানিয়েছিলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে তিন দিন সময় নিয়ে তিনি পরীক্ষাসমূহ সফল ভাবে সম্পন্ন করেছিলেন তিনি। তিনি পরিবেশ ,গণিত এবং মালায়লামএই তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। জানা যায় বাল্যকালে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর তাঁর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি তাঁর পিপাসাকে ত্যাগ করে নিজের ভাই বোনের দিকে নজর দিতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তাঁর অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে অবশেষে নিজের জ্ঞানার্জন সম্পন্ন করেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় শোকার্ত হয়েছেন বহু মানুষ।