নিজস্ব প্রতিবেদন, বেনারস : ভারতের প্রাচীনতম শহর , তবে শুধুমাত্র কী প্রাচীনতম শহর বললেই বেনারসের ঐতিহ্যবাহী স্থানের প্রাচুর্যতা বোঝানো সম্ভব ? হয়তো নয় । বেনারসের ঘাটের দিকে কয়েক পা এগিয়ে গেলেই নানা রকমের আগরবাতির সুগন্ধ আপনার নাককে জানান দেবে যে ,আপনি বেনারসের ঘাটে পৌঁছে গেছেন। তার পরেও যদি আপনার বিশ্বাস না হয়, দেখবেন আপনার চারপাশের কিছু খুদে বাচ্চা হাতে শালপাতার বাটিতে ফুল আর প্রদীপের ডালা নিয়ে হাজির। খালি আবদার করতে থাকবে একটি ডালা কেনার জন্য ।

আর তার খানিক বাদেই দেখতে পাবেন একে একে সকল পুরোহিতেরা নিজেদের আসনে অধিষ্ঠান করছেন। আর তার পাশেই দু’জন পুরোহিত জোরে জোরে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে চলেছেন। এই মন্ত্র পাঠের প্রতিটি শব্দ , বেনারসের সেই মুহূর্তের পরিবেশকে একেবারে অনন্য রূপ এনে দেয়। সাধারণ একটি ঘাট খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে ওঠে পূর্ণ তীর্থস্থান। তারপর একে একে প্রতিটি ঘাটেই দর্শনার্থীদের ভীড় উপচে পড়ে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই মহাসমারোহে জানান দেওয়া হয়, সন্ধ্যা আরতির সময় হয়েছে। তারপর প্রতিটি পুরোহিত এক ভঙ্গিমায় করজোর করে মা গঙ্গাকে প্রণাম করেন । তারপর একে একে ধূপ ,দীপ ,শঙ্খ, ঘন্টা, কাশর প্রভৃতি দিয়ে মা গঙ্গার আরতি করতে থাকেন। বেনারসের আরতির বিশেষত্ব হলো প্রতিটি পুরোহিত একইসাথে একই ভঙ্গিমায় মা গঙ্গার প্রতি নিজেকে সমর্পণ করেন। আজও মাঘী পূর্ণিমার তিথিতে বেনারসের এই ঘাটেই পূর্ন আরতি সারা হল। সে আরতি দেখার মত, অপুর্ব। এই বিশেষ আরতী দেখতেই দেশ-বিদেশ থেকে বহু দর্শনার্থী ভিড় করেন বেনারসের এই ঘাট গুলিতে। আপনারা যদি বেনারস না গিয়ে থাকেন তাহলে এই সুন্দর মুহুর্ত অনুভব করতে ঘরে আসুন। দেখবেন বেশ ভালো লাগব্র। যাওয়ার বিস্তারিত তথ্য আমাদের পরের প্রতিবেদনে পাবেন।