কলকাতা মেডিকেল কলেজের চারতলার কার্নিশ টপকে পালাতে চেষ্টা করলেন এক করোনা রোগী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোর রাতে। মঙ্গলবার সকালে রীতিমতো দমকল ডেকে উদ্ধার করতে হয় তাঁকে।

মঙ্গলবার কাক ভোরে কাজ শুরু করেছিলেন হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা। হঠাৎ তাঁরা দেখতে পান করোনা ওয়ার্ডের চারতলার কার্নিশে বসে পা দোলাচ্ছে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিও যে করোনা আক্রান্ত তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কারোরই। ওই ব্যক্তি ওখানে কী করছেন তা সাফাই কর্মীরা অনেকবার জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর দেননি তিনি। ততক্ষণে খবর পাওয়া যায় যে কোভিড ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ এক রোগী। এরপরই হুলুস্থুলু বেঁধে যায় হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের তরফেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। এরপর দমকল এবং পুলিশকর্মীরা এসে পিপিই কিট পরে লম্বা মই লাগিয়ে উদ্ধার করেন ওই ব্যক্তিকে।

হাসপাতালে এক স্বাস্থ্যকর্মীর বলেন “কার্নিশ টপকে পালাতে চেয়েছিলেন ওই করোনা রোগী। কিন্তু চারতলার কার্ণিশে নেমে টের পান সেখান থেকে লাফ দিলে হাত পা ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে। এদিকে ওখান থেকে যে ফের ওয়ার্ডে ফিরে যাবেন সে উপায়ও নেই। কার্যত বাধ্য হয়েই চুপচাপ বসে পা দোলাচ্ছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা কার্নিশেই ছিলেন তিনি।”
দীর্ঘদিন হাসপাতালের বন্দী জীবনের ফলে অবসাদ গ্রস্ত হয়ে মুক্তির খোঁজেই পালাতে চেয়েছিলেন ওই রোগী, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালে সুপার মানব নন্দী। কিভাবে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে পালিয়ে যেতে পারলেন একজন করোনা রোগী তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।