ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে আজ থেকে জেলায় জেলায় সফর শুরু করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর হেলিকপ্টারে আজ তিনি উড়ে যাবেন শীতলকুচি সহ কোচবিহারের আরও বেশ কিছু এলাকায়। ভোটগ্রহণের সময় থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের শীতলকুচি। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথে দুষ্কৃতিদের গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে বছর ১৮ এর এক তরুণের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে মৃত্যু হয় ৪ ব্যক্তির। মৃতদের তাদের সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূল। এর পর গড়িয়েছে অনেক জল। শীতলকুচিতে হেরেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। তার পর বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। শীতলকুচির এহেন পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই প্রথমেই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার একটি ট্যুইট করে এই সফরের কথা জানান রাজ্যপাল। ট্যুইটিতে সরাসরি ট্যাগ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইটার হ্যান্ডেলকে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-13-at-11.16.58.jpeg)
রাজ্যপালের এই সফরের সিদ্ধান্তে অবশ্য আপত্তি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার চিঠি লিখে তিনি রাজ্যপালকে জানান ” আপনি একতরফা কোচবিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জেনেছি। আমার মনে হয়েছে, এতে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলে আসা রীতি ভঙ্গ হয়েছে। আমি আপনাকে অনুরোধ করব, উপরোক্ত রীতি মেনে চলুন। মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকুন”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ক্ষমতায় ফিরে শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা। মৃতদের পরিবারপিছু ২লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।