ঠান্ডা লড়াই চলছে উত্তর ব্লক এবং দক্ষিণ ব্লকের মধ্যে । উত্তর ব্লক মানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতর আর দক্ষিণ ব্লক মানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। লড়াইয়ের প্রথম রাউন্ডটি ড্র হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের নাম নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। শাহের মন্ত্রণালয় কিছু নির্দিষ্ট প্রার্থীকে সমর্থন করছে, কিন্তু দোভালের নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রীর অফিস সেই প্রার্থীদের অগ্রাহ্য করছে। এই দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জাতীয় প্রযুক্তিগত গোপনীয়তা সংস্থা।
বর্তমানে এই সংস্থার মাথায় রয়েছেন অরুণ সিনহা। সিনহা কেরোলের আইপিএস কর্মকর্তা। তাঁর অবসরের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। ভারতের প্রযুক্তিগত গোয়েন্দা শাখা, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে রিপোর্ট দেয়, যার নেতৃত্বে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। কিন্তু অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি নয়া পদক্ষেপ নিতে চাইছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে ঠাণ্ডা লড়াই। অমিত শাহের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এনএসএ-র কাজে দখলদারির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক কারণেই তা দোভাল ভালো চোখে দেখছেন না।
সংবাদ পোর্টালে দাবি করা হয়েছে যে কয়েক মাস আগে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর প্রধান অনীশ দয়াল সিংয়ের ফাইলটি ফিরিয়ে দিয়েছে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাতে ছাড়পত্র দিয়েছিল। কেন তার নাম বাতিল করা হল, সে সম্পর্কে নোট দেওয়া হয়নি। ইচ্ছাকৃতই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয কোনো নোট দেয়নি। কারান তারা কোনো প্রমাণ রাখতে চাইনি। প্রধানমন্ত্রী ওই কার্যালয় চলে অজিত দোভালের কথাতে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই লড়াই। তখন ডোভালের এনএসএ দুটি নাম প্রস্তাব করেছিল। রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্সের প্রধান মনোজ যাদব এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ পরিচালক রশ্মি রঞ্জন স্বাইনের নাম পাঠানো হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাদবকে ছাড়পত্র দিতে অস্বিকার করে। তারা যাদবকে অপরিহার্য মনে করেনি। একইভাবে, রশ্মি রঞ্জন স্বাইনকে ছাড়পত্র দেয়নি অমিত শাহের মন্ত্রক। দোভাল-শাহের এই ঠান্ডা লড়াই শুধুমাত্র প্রশাসনিক নয়, বরং দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।