পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ একই মত নিল ভারত এবং চিনা সেনা। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার কোর কমান্ডার স্তরের অষ্টম দফার বৈঠকে প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া অঞ্চলে ডিসএনগেজমেন্ট এবং ডিএসক্যালেশন সংক্রান্ত তিনটি পদক্ষেপের বিষয়ে ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্যাংগং এলাকায় ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় দু’বাহিনী এখন ট্যাঙ্ক, ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল্-সহ নানান ভারী সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে সেগুলি পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের পদক্ষেপের মূল বিষয়, প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে ডিএসক্যালেশন প্রক্রিয়া। সেখান থেকে প্রতিদিন ৩০ শতাংশ করে সেনা সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে দু’পক্ষ। তৃতীয় পর্যায়ে ‘সঙ্ঘাতের নয়া ক্ষেত্র’, প্যাগংয়ের দক্ষিণ তীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেনা পিছনোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে ওই খবরে দাবি। গত শুক্রবার এলএসি-র চুসুল লাগোয়া মলডোয় অষ্টম পর্যায়ের বৈঠকে প্রথম বার ভারতের হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ১৪ নম্বর কোরের নতুন কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন। বৈঠকে তিন দফা ডিসএনগেজমেন্ট এবং ডিএসক্যালেশন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য যৌথ ভাবে চালকহীন বিমান ব্যবহারের বিষয়ে দু’তরফই সম্মতি দিয়েছে।