শনিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে এক পুলিশকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনা আসলে আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত খুন বলে দাবি করেন মৃতের স্ত্রী। এদিন কেশপুর থানার ব্যারাকের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। উল্লেখ্য সকালে এক ঠিকে পরিচারিকা ব্যারাকে কাজ করতে এসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ওই পুলিশকর্মীকে। তৎক্ষণাৎ আশপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করলে তারা ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।মৃতের নাম সঞ্জয় চৌধুরী।
তার বাড়ি পুরুলিয়ায়। কর্মসূত্রে তিনি মেদিনীপুরে তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। রাজ্য পুলিশের এস আই পদে কাজ করতেন সঞ্জয় বাবু। চলতি বছরের ২১ শে জুলাই তিনি পুরুলিয়া থেকে বদলি হয়ে মেদিনীপুরে আসেন।এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কেশপুর থানায় ছুটে আসেন স্ত্রী ঈপ্সিতা চৌধুরী। তিনি জানান, পূর্বে বিষ্ণুপুর থানায় কাজ করার সময় সেখানকার এক কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি হয় সঞ্জয় বাবুর। স্বামীর মৃত্যুর পিছনে ওই পুলিশকর্মী দায়ী বলে অভিযোগ করেন ঈপ্সিতা দেবী। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন সঞ্জয় বাবু। সহকর্মী ও পরিবারের কথায়, খুব হাসিখুশি স্বভাবের মানুষ ছিলেন সঞ্জয় তাই অবসাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।