এবার পাকিস্তানে জীববিদ্যার সিলেবাস ঠিক করবেন ধর্মগুরুরা। সম্প্রতি এমনটাই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুধু জীববিদ্যাই নয়, বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের পাঠ্যসূচিও নির্ধারণ করবেন মোল্লাহরাই। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের মসনদে বসেন ইমরান খান। দেশবাসীকে নতুন পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষমতা লাভ করেন তিনি। সমস্ত শিশুদের পড়ার সুযোগ করে দিতে তিনি চালুও করেছিলেন সিঙ্গল ন্যাশানাল কারিকুলাম। ইসলামাবাদের বিভিন্ন স্কুল গুলিতে এই নিয়ম কার্যকরী করে পাঠ্যসূচি তৈরির জন্য গঠন করা হয় কমিটি। যদিও তখন থেকেই দেখা যায় যে সেই কমিটিতে একটি বড় অংশ দখল করে রয়েছেন ধর্মগুরুরা।
জীববিদ্যা পড়ানোর সময় রেচন,জনন ইত্যাদি অধ্যায়গুলি পড়ানো হবে, এবং বিভিন্ন ডায়াগ্রাম ও ছবির সাহায্য নিয়েই পড়ানো হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা নিয়েও আপত্তি পাকিস্তানি ধর্মগুরুদের। তাঁদের ফরমান মতে ডায়াগ্রাম, ছবি এবং চার্ট নিষিদ্ধ করতে হবে জীববিদ্যার পাঠ্যবইতে। এমনকি ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত একটি জীববিদ্যা বইতে ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছিল খরগোশের ছবিও। সেদেশের সমস্ত সিলেবাসই নির্ধারিত হয়, মোল্লাহদের দ্বারাই। এমনকি পাকিস্তানে জন্মনিয়ন্ত্রণ শব্দটাও একপ্রকার ‘ট্যাবু’ ই বলা চলে।পপুলেশন ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল কালচারাল সেনসিভিটিজ।
এহেন ধর্মগুরুদের হাতে পাঠ্যসূচি নির্ধারণের ম্পত বিরাট দায়িত্ব ছেড়ে পাকিস্তানকে কি আদৌ উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন ইমরান? নাকি একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও পাকিস্তান আবারও পিছিয়ে গেল কয়েক শতাব্দী? নানান মহলে উঠছে এই প্রশ্নই।