পুরভোটের দিন কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা ত্রিপুরার প্রতিটি বুথের। রাজনৈতিক হিংসা ও অশান্তির আবহেই মিটেছিল ভোটের প্রচার। নির্বিঘ্নে নির্বাচনের দাবিতে শীর্ষ আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। নির্বাচনে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পুরভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত আগরতলা। কোথাও বিরোধী পার্টিতে প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে, তো কোথাও আবার মক পোলিং চলাকালীনই বিজেপি বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি আগরতলায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ চলছে ত্রিপুরার ২০টি পুরঅঞ্চলে। এই প্রথমবার আগরতলায় পুরভোটে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। এদিন বেলা যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে রাজনৈতিক অশান্তি। এবার সস্ত্রীক ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল আরেক প্রার্থী তপন বিশ্বাস। অভিযোগ, তিনি বুথ থেকে ভোট দিয়ে বেরনোর পরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে তাঁর। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। তৃণমূলের তরফে সকাল থেকেই বারবার অভিযোগ আনা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।