ভোটের আবহে নেতা মন্ত্রীদের একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি এবং বিতর্কিত মন্তব্য নতুন কথা নয়।এবার রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সেই রাজনৈতিক তরজায় আরেক নতুন মাত্রা যোগ করলেন বিজেপি সাংসদ তথা টালিগঞ্জের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয় নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে লেখেন “মিডিয়া যে কেন এই ভোটটিকে ‘নীলবাড়ির লড়াই’ বলছে জানিনা | বিজেপি কি কখনো বলেছে যে সরকার গড়ে নীলবাড়িটিকেই হেডকোয়ার্টার করবে?? আমি তো বরঞ্চ মনে করি, ওই নীলবাড়িটিতে বসে চরম জনবিরোধী ও একান্তই নিষ্ঠুর ও অনৈতিক যে সব কাজকর্ম করেছেন মাননীয়া মমতা ব্যানার্জী, তাতে ওই বাড়িটি বাংলার ইতিহাসে একটি অভিশপ্ত বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থেকে যাবে !!” তিনি নিজের পোস্টে আরো লেখেন “নীলবাড়িটির শাপমুক্তি হতে পারে একমাত্র যদি ওটিকে একটি গরীব মানুষের হাসপাতাল বা মনোরম একটি বৃদ্ধাশ্রম বা গ্রামগঞ্জের যে সব ছাত্র কলকাতায় পড়তে আসে, তাদের জন্য একটি ছাত্রাবাসে রূপান্তরিত করা হয় !!”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃনমুল ক্ষমতায় আসার আগে অবধি রাজ্যের মুখ্য সচিবালয় ছিল মহাকরণ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণের সংস্কারের কথা বলে মুখ্য সচিবালয় সরিয়ে নিয়ে যান গঙ্গার অন্যপাড়ের একটি বহুতলে। বহুতলটির নামকরণ করেন ‘নবান্ন’।
বাবুল সুপ্রিয়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন ” উনি (বাবুল)একটা পাগল। ওঁর কথায় কিছু এসে যায় না, বাবুল তো আর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি না। ওঁর দলে অবস্থান ভালো না, এই কারণে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার পরেও ওঁকে বিধানসভার প্রার্থী করেছে। তাই ওঁর কথায় কান না দেওয়াই ভালো।”
২০২১ এ বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি সত্যিই আবার বদলাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবালয়ের ঠিকানা? এই প্রশ্ন এখন থেকেই যাচ্ছে।