কলম্বিয়াকে পেনাল্টি শুট-আউটে ৩-২ গোলে পরাজিত করে আর্জেন্তিনা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়েছিল। এই জয়ের সুবাদে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল আর্জেন্তিনা। খেতাবি লড়াইয়ে মেসিরা মুখোমুখি হবেন নেইমারের ব্রাজিলের সাথে। শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজের গ্লাভসের দৌলতে কলম্বিয়াকে হারালেন মেসিরা।এদিন খেলার শুরুতেই এগিয়ে যেত আর্জেন্টিনা। কিন্তু মেসির সাজানো বল ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি লাউটার মার্টিনেজ। এরপর অবশ্য ৬ মিনিটের মাথায় প্রায়শ্চিত্ত করেন সেই মার্টিনেজই।
আবার মেসিই তাঁকে বল সাজিয়ে দেন। গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন তিনি। গোল হজম করলেও চোয়াল চেপে লড়াই করে যায় কলম্বিয়া দল। প্রথমার্ধ জুড়ে একাধিক আক্রমণ করেন কুয়ার্দাদোরা। কিন্তু গোল আসেনি। ৬০ মিনিটের মাথায় সেই কাজটাই করে ফেললেন দিয়াজ। করডোনার সামনের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া লম্বা থ্রু বক্সের মধ্যে ধরেন দিয়াজ। গতিতে পরাস্ত করেন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার পেজেল্লাকে। প্রায় পড়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তে ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন দিয়াজ। সমতা ফেরে খেলায়।
কলম্বিয়া গোল পেতেই ডি মারিয়াকে মাঠে নামান স্কালোনি। ডি মারিয়া মাঠে নামা মানেই অন্য একটা দোলা তৈরি হওয়া। তাই হয়। দুরন্ত সোলো রানে কলম্বিয়া বক্সের দিকে এগোতে থাকেন ডি মারিয়া। আগুয়ান গোলরক্ষক অসপিনাকে এড়িয়ে মাইনাস রাখেন লাউটার মার্টিনেজকে। কিন্তু তাঁর গোলমুখী শট গোললাইন সেভ করে দেন কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার। এরপর বেশ কয়েকটি ফ্রিকিক পেলেও তা এদিন কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। লিওর একটি ফ্লিক পোস্টে লেগেও ফেরে। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। স্যাঞ্চেজের শট আটকে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ। এরপর কলম্বিয়ার মিনার শটও আটকে দেন মার্টিনেজ। পর পর দুটি পেনাল্টি আটকে দেন তিনি। যা ফাইনালে পৌঁছে দিল আর্জেন্টিনাকে। আর্জেন্টিনার এই জয় এনে দিল মার্টিনেজের গোল্ডেন গ্লাফস।