কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে জীবনদায়ী ওষুধ চুরির অভিযোগে, মেডিকেল কলেজ থেকে কোচবিহারের শীতলকুচিতে সরানো হল অভিযুক্ত চিকিৎসককে।অভিযুক্তই চিকিৎসকের নাম দেবাংশী সাহা। কলকাতা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল অফিসার পদে ছিলেন তিনি, তবে এই অভিযোগ ওঠার পরই শীতলকুচিতে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতাধীন জটামারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয় তাঁকে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-12-at-12.01.09.jpeg)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারের মাধ্যমেই জীবনদায়ী ওষুধ চুরির ঘটনা সামনে উঠে আসে। এরপরই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। এই তদন্তের ফলেই উঠে আসে মেডিক্যাল অফিসার দেবাংশী সাহা ও সিস্টার ইন চার্জের নাম। এই কমিটির তরফে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। সূত্রের খবর অনুসারে জানতে পারা গেছে আপাতত এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই তদন্তের জেরেই বদলি করা হয়েছে অভিযুক্তদের। তাহলে কি এই বদলিই শাস্তি হিসেবে দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল? যদি তা হয়ে থাকে তাহলে টসিলিজুমাবের মত জীবনদায়ী ওষুধের চুরির ঘটনায় বদলি কি যথোপযুক্ত শাস্তি? নাকি আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও কোন বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর? পাশাপাশি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বর্তমানে সেই ওষুধগুলো কি যথোপযুক্ত জায়গায় রয়েছে? তাছাড়াও আগামী দিনে এই ধরনের দুর্নীতি এড়াতে কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন থাকছে আমাদেরও।