করোনামুক্ত হতে চলেছে ফ্রান্স, কমছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। মার্চ এপ্রিল মাসে ফ্রান্স করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছে যায়, দিনে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার করে। এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৯০০। এই নিয়ে অনেক আশায় রয়েছে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ কাস্তেক্স। ফ্রান্স চাইছে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে এবং সেই পরিবেশও তৈরী হয়ে গেছে এখন। তাই বুধবার থেকেই শিথিল করলো একাধিক কোরোনাবিধি। মাস্ক পরাও আর বাধ্যতামূলক নয় ফরাসিতে। গত ৮ মাস ধরে যে নৈশকার্ফু জারি ছিল তা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কাস্তেক্স। রবিবারই তা তুলে নেওয়া হবে।
তবে এখনো রয়েছে সামান্য কিছু নিয়ম। যেখানে রাস্তায় বাজার বসে বা স্টেডিয়ামের মত জমায়েতে যেখানে ভিড়ের সম্ভবনা বেশি সেখানে এখনো মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া কর্মস্থল থেকে শুরু করে বেশ কিছু প্রকাশ্য জায়গায়, এমনকি বাড়িতেও মাস্ক পড়তে হবে। কাস্তেক্স এর মোতে গত আগস্টের পর থেকে এত কম সংক্রমণে সে ভীষণ ভাবেই ইতিবাচক। মোটামুটি ফ্রান্সের সব অঞ্চলেই পরিস্থিতি ভালোর দিকেই এগোচ্ছে। এই সাফল্যের কারণ হিসেবে তাঁর মনে হয় ফ্রান্সের সমগ্র নাগরিকের একত্রিত হয়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে স্বার্থক করা। এই পদক্ষেপই তাঁদের করোনা যুদ্ধে জয়ের অনেক কাছে এনে দিয়েছে।
কীভাবে লড়লো ফ্রান্স করোনা যুদ্ধে ?
গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই ফ্রান্সে চলতে থাকে নৈশ কার্ফু। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে মে -এর মাঝামাঝি যখন করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধমুখী তখন সন্ধ্যে ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা অব্দি কার্ফু জারি থাকতো। কিছু জায়গায় ছাড় ছিল যেমন রাস্তায় হাঁটা বা পোষ্য কে নিয়ে বেরোনো। তারপরে পিছিয়ে যেতে থাকে কার্ফুর সময়, পিছিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় রাত ১১ টায়। এরপর ১৯ এ মে থেকেই খুলে যেতে থাকে দোকান, রেস্তোরাঁ,ক্যাফে ,থিয়েটার ,সিনেমাহল। বড় ধরণের খেলার অনুষ্ঠানে বা সাংস্কৃতিক অসুস্থানে সর্বচ্চো দর্শক সংখ্যা হবে ৫ হাজার। তবেই দেখাতে হবে ভ্যাকসিনের শংসাপত্র বা ৪৮ ঘন্টা আগের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। ফ্রান্সের পরিণতবয়স্ক জনসখ্যার ৫৮ % এর বেশি অন্তত ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিয়েছে। এদিকে যেমন ফ্রান্স কমাচ্ছে বিধিনিষেধ অন্যদিকে ১২ থেকে ১৮ বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য শুরু করছে ভ্যাকসিন কর্মসূচি।