রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মুহুর্তে কিছুতেই ছাড়তে পারবেনা রাজ্য। দীর্ঘ চিঠি লিখে কেন্দ্রকে স্পষ্টতই একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে কার্যতই পূর্ণচ্ছেদ পড়ল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির জল্পনায়।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ৫পৃষ্ঠার একটি চিঠি লেখেন মমতা। সেই চিঠিতে কেন এই মুহুর্তে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অব্যাহতি দেওয়া অসম্ভব রাজ্যের পক্ষে সেই কথাই বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন মমতা। কেন্দ্রের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যে করোনা ও ইয়াস পরিস্থিতি মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মুখ্যসচিব। সেই কারণেই রাজ্যের কাছে তিনি এখন অপরিহার্য একথা চিঠিতে বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। শুধু তাইই নয় মুখ্যসচিবের সদ্য ভাতৃহারা হওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বদলির আদেশ দেওয়া যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামের পরিপন্থি একথা বলে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মমতা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/IMG-20210531-WA0007.jpg)
আজই রাজ্যে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির শেষ দিন। কিন্তু রাজ্যে তাঁর অপরিহার্যতার কথা ভেবেই তাঁর মেয়াদ আরও ৩মাস বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের থেকে মিলেওছিল অনুমতি। কিন্তু এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই শুক্রবার রাতে হঠাৎই দিল্লিতে বদলির চিঠি আসে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। যার পর থেকেই তুঙ্গে ওঠে জল্পনা- সমালোচনা। এ ব্যাপারে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল ছুটির দিনেও সস্ত্রীক নবান্নে আসেন তিনি।কাটান বেশ কিছুটা সময়।
আজ ‘দুয়ারে ত্রান’ প্রকল্প নিয়ে নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির বদলে সেখানেই যোগ দেন মুখ্যসচিব।
এর মধ্যে এ জল্পনাও ছিল যে হয়ত নিজের কাজে সম্পুর্ন ইস্তফাই দেবেন আলাপন। কিন্তু মাত্র একটি চিঠিতেই মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সমস্ত জল্পনা এবং জটিলতার ইতি টানলেই, তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।