পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় আসার কথা তাঁর। সেদিনই দুজনের বৈঠক করার কথা রয়েছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অফিসার নিয়োগ ও বদলির অধিকার পেয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, নির্বাচিত সরকারের কথা শুনে চলতে হবে উপ রাজ্যপালকে। কিন্তু, সেখানেই সমস্যার সমাধান হয়নি৷ সুপ্রিম নির্দেশের পরেও অব্যাহত দিল্লি-কেন্দ্রের প্রশাসনিক ক্ষমতার টানাপোড়েন৷
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অফ দিল্লি (সংশোধন) অর্ডিন্যান্স ২০২৩ নামে একটি অধ্যাদেশ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিস অথরিটি বা এনসিসিএসএ গঠন করেছে সরকার। এটি দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে ট্রান্সফার পোস্টিং, ভিজিলেন্স এবং অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশ করবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে দিল্লি সরকারের আমলাদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দিয়েছিল দিল্লির সরকারকে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। আর তাই এই অধ্যাদেশ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নয়া অধ্যাদেশ, সুপ্রিম কোর্টের রায় লঙ্ঘনকারী এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আক্রমণ।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের এই আচরণের বিরুদ্ধে এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সমর্থন চাইছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই রবিবার তিনি দেখা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে। আজ, রবিবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।