চিনের আপত্তিকে ফুৎকারে উড়িয়ে আজ, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে বসছে জি-২০ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির তৃতীয় ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। জি-২০ এই বৈঠকের জন্যই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কেন্দ্রের তরফে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর এই প্রথম উপত্যকায় কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে চলেছে। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধকে ইস্যু বানিয়ে বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না অপর প্রতিবেশী দেশ চিন।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বসছে জি-২০ বৈঠক। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা। বৈঠকে জঙ্গি হামলা রুখতে সেনা বাহিনীর পাশাপাশি মেরিন কম্যান্ডো ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোনের গতিবিধি রুখতে চালু করা হয়েছে অ্যান্টি-ড্রোন ইউনিট। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা বাহিনী, বিএসএফ, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, সশস্ত্র সীমা বল ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাজার হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জি-২০ এই বৈঠকের মুখ্য কো-অর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, এবারের জি-২০ সভাপতিত্ব পেয়েছে ভারত। এখনও অবধি দেশে মোট ১৮টি জি-২০ বৈঠক হয়েছে। এরমধ্যে শ্রীনগরের বৈঠকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জি-২০ সদস্য় দেশগুলি থেকে প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি আসবেন। এছড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবেও বহু প্রতিনিধি আসছেন। পর্যটন নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না চিন, তুরস্ক ও সৌদি আরব।