বিগত ফেব্রুয়ারি মাসের পয়লা তারিখ হঠাৎ করেই মায়ানমারের শাসন ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় সেখানকার সেনাবাহিনী। সেইসময় সেনাবাহিনী বন্দি করে তৎকালীন মায়ানমারের প্রধান শাসক আং সাং সুকিকে। এরপর থেকেই দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে গণতন্ত্রকামীরা শান্তিপূর্ণভাবে এক অভিনব আন্দোলন শুরু করে মায়ানমারে।

কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও এই আন্দোলনকে দমাতে সেনা বলপ্রয়োগ করে, যার ফলে এখনো পর্যন্ত সেনার গুলিতে প্রায় ৫০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু নিজের দেশের এই গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি ও মৃত্যুমিছিল সম্পর্কে সম্ভবত এখনো কিছুই জানেন না বন্দি সুকি। অন্তত তার আইনজীবীর দাবি এমনই।
মায়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের এই আন্দোলন শুরুর দিকে এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরবর্তীতে এই আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। সেনাবাহিনীর আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রর সঙ্গে লড়াই করতে তারা বেছে নিয়েছে গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতি। এই গৃহযুদ্ধের বহু মানুষের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ হয়েছেন ঘরছাড়া। এই সবকিছু মিলিয়ে এখানকার পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে, সেই সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আজই রাষ্ট্রসংঘও এই ব্যাপারে মায়ানমারের সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে। তবে এই সতর্কবাণী মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কতটা দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারে, সেটাই এখন দেখার।