এত বছর রাজনীতিতে থেকেও এখনও যে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যেতে হচ্ছে তার অন্যতম উদাহরণ ভারত জোড়ো। আজ শনিবার হরিয়ানা হয়ে দিল্লির লালকেল্লায় পৌঁছল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা। এদিন যাত্রাপথে রাহুলের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন তাঁর মা সনিয়া গান্ধী, বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, জামাইবাবু রবার্ট বঢরা। লালকেল্লায় রাহুলের পাশে দেখা যায় অন্যতম অভিনেতা কমল হাসানকেও। বদরপুর সীমানায় রাহুলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান দিল্লির প্রদেশ সভাপতি অনিল চৌধুরি।
এদিন লালকেল্লা থেকে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে রাহুল বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে থাকলেও আসলে দেশে সরকার চালাচ্ছেন মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানিই। দেশে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। সারা দিন শুধু হিন্দু-মুসলিম বিভেদ চলছে। এটা বাস্তব নয়। আমি কন্যাকুমারী থেকে পায়ে হেঁটে এসেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষের সংস্পর্শে এসেছি। তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি, ভালবাসা নিজের চোখে দেখেছি । আসল সমস্যাগুলি থেকে নজর হটানোর জন্য এই হিন্দু-মুসলিম তত্ত্ব চালানো হচ্ছে।‘
এদিকে দিল্লিতে হাড় হিম করা ঠান্ডায় রাহুলের পরনে দেখা গেল শুধু টি-শার্ট। কোনো শীতবস্ত্রই ছিল না। এভাবেই ভারত জোড়ো যাত্রায় হেঁটে চলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই ছবি দেখে নিন্দুকেরা প্রশ্ন করেছেন, ‘রাহুল গান্ধীর ঠান্ডা লাগে না?’ এই প্রশ্নের জবাবে রাহুলের সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আসা কানহাইয়া কুমার বলেন, ‘যিনি এতকিছু আক্রমণ সামলাচ্ছেন, তাঁর শরীরে সবকিছু সহ্য করার শক্তি আছে।’ রাহুলকে ঘিরে এদিন দিল্লিতে কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ছিল। রাস্তার দুই ধার জাতীয় পতাকা আর তেরঙা বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। চারিদিকে ওঠে ‘রাহুল গান্ধী জিন্দাবাজ’ স্লোগান। এই দিন লাল কেল্লায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের রাহুল বলেন, ‘‘এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য ঘৃণার বাজারে প্রেমের দোকান খোলা”।
আরও পড়ুন