মেদিনীপুরে মমতার জনসভায় দেখা গেল না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকেও। সুকৌশলে এদিন শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গও এড়িয়ে যান মমতা। অন্যদিকে রবিবারই পায়ে অস্ত্রোপচারের কারণে মমতার জনসভায় না যেতে পারছেন না বলে জানিয়ে দেন শিশির অধিকারী।
এদিন সিপিএম -কংগ্রেস-বিজেপিকে একযোগে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে সিপিএম -কংগ্রেস-বিজেপি। এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। বহিরাগত তত্ত্বেও এদিন মুখ খোলেন মমতা। তাঁর কথায়, বহিরাগতরা বাংলা দখল করতে চাইছে, আমরা তা হতে দেবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বহিরাগতরা টাকা বিলোচ্ছে। এরপরই মমতার হুঙ্কার আগুন নিয়ে খেলবেন না, তৃণমূলকে কোনওদিন কিনতে পারবেন না।
পিএম কেয়ার্সের টাকার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তোলেন তিনি। এদিন আমফান প্রসঙ্গে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মমতা। কেন্দ্রের নাম না করে তুই
সম্বোধন করে তাঁর প্রশ্ন “টাকা না দিয়ে হিসেব চাইছিস কেন? ” তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সংবাদমাধ্যমগুলিকে ঠিক করে দেয় কোন খবর যাবে আর কোন খবর যাবে না।
এদিন কৃষি আইন প্রসঙ্গে কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা। তাঁর কথায়, মঙ্গলবার ভারত বনধ সমর্থন না করলেও নীতিগতভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। নতুন ধানের শিষ হাতে নিয়ে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, একুশের নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলই থাকবে বলে জানান তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, সোনার ধান দিয়েই বিজেপিকে বিদায় দেব।
এদিন মিটিং শেষ করেই বিধায়ক মৃগেন মাইতির বাড়িতে যান তিনি। সভা চলাকালীই খবর আসে মারা গিয়েছেন বিধায়ক। এরপরই সভা শেষ করে তাঁর বাড়ি যান মমতা। প্রসঙ্গত সভার শুরুতেই মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল ওই বিধায়ক গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন মৃগেন মাইতি।