একসময় এই নন্দীগ্রামকে হাতিয়ার করেই মুখ্যমন্ত্রীর পদে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে, নির্বাচনের আগেই নন্দীগ্রামে গিয়ে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন নন্দীগ্রাম তার প্রাণের জায়গা , তাই বিধায়কহীন নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের নন্দীগ্রামে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এবার বিজেপি । সেক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীতা চরমে, কারণ উভয় পক্ষই ছাড়তে নারাজ এক ইঞ্চিও জমি। নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়াল লিখন তবে এটাই যথেষ্ট বলে মনে করছেননা তিনি। তাই বিপক্ষকে চাপে ফেলে আরও একবার নন্দীগ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে। পরের মাসেই ফের দু’দিনের সফরে নন্দিগ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এদিকে রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর এইরূপ সিদ্ধান্ত কারণ গত কয়েক মাসে একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক যোগদান করেছেন বিজেপিতে ।তাদের মধ্যে শুভেন্দু অন্যতম ,তিনি জানিয়েছেন ,নন্দীগ্রামে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে হারাবেন,তা না হলে রাজনীতি ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতার পাশে দাঁড়ানোর মত মানুষের অভাব হবে না বলেই ধারণা করছেন তিনি নিজে। বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে গেছে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানে আসার সম্ভাবনা আছে এই নেত্রীরই তবে পূর্বের তুলনায় কমতে পারে আসন সংখ্যা। ফেব্রুয়ারিতে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগদান করতেই সেখানে যাচ্ছেন মমতা ।