আমেরিকার পথেই হাঁটলো দক্ষিণ কোরিয়া। জানানো হল, ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ দেওয়া থাকলেই বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে পরতে হবে না মাস্ক। দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ মানুষের জন্য সুখবর হলেও এখনই তা কার্যকরী হচ্ছে না। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে আগামী মাস থেকেই লাঘু হবে এই নির্দেশ। পাশাপাশি সরকারি তরফে জানানো হয়েছে আগামী অক্টোবর মাস থেকে আরও শিথিল হয়ে যেতে চলেছে কোভিড বিধি। এবার প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে তাহলে কি একেবারেই করোনামুক্ত সাউথ কোরিয়া? না আসলে ঠিক তা নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বুধবারই করোনা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বসেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কিম-বু-কুম। তারপরেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মূলত এই ধরনের ঘটনার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল বর্তমানে সেদেশে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ব্যক্তিদের মাত্র ৭.৭শতাংশ। তবে সরকারি লক্ষ্য অনুসারে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭০% লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চাওয়া হয়েছে । শুধু তাই নয় পাশাপাশি সেদেশের বর্ষিয়ান নাগরিকদের ক্ষেত্রে টিকা গ্রহণের আগ্রহ সর্বনিম্ন। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগ্রহী করে তুলতে এই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
ওদিকে সরকারি তরফে আরও জানানো হয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুন মাস থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় জমায়াতের সিদ্ধান্তে সবুজ সিগনাল দেবে সরকার। তবে জমায়েতের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য বলেই জানিয়েছেন তাঁরা । সেক্ষেত্রেও অবশ্যই একটি ভ্যাকসিন নিতেই হবে সকলকে। ৬০ থেকে ৭৪ বছর বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ৬০% মানুষ টিকা করনের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। আগামীদিনের লক্ষমাত্রা পূরণে উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।