বাড়ির শিশুরা সেরেল্যাক খেলে সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘পাবলিক আই’ নামে একটি সংস্থা। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেসলে ভারতে শিশুদের জন্যে যে সেরেল্যাক বিক্রি করে তাতে প্রচুর পরিমানে চিনি রয়েছে। প্রতিবার শিশুকে সেরেল্যাক খাওয়ানোর সময় ৩ গ্রাম করে চিনি যাচ্ছে শিশুর শরীরে। ওবেসিটি ও ক্রনিক অসুখ রুখতে যে আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা রয়েছে, তা লঙ্ঘণ করেছে নেসলে বলে অভিযোগ।
শিশুদের বোতলবন্দী খাবারে যে খাদ্য উপাদান থাকে, তার নাম ও পরিমান লেখা থাকে বোতলের লেবেলে। কিন্তু চিনি ব্যবহার করলেও চিনির কথা কোথাও লেখা নেয় নেসলের সেরেল্যাকের বোতলে। এই নিয়ম লঙ্ঘণের জন্যেও বিপদে পড়তে হতে পারে নেসলেকে।
রিপোর্ট প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে শিশুখাদ্যে চিনি ব্যবহার করছে নেসলে বলে অভিযোগ। কিন্তু জার্মানি ও ইউরোপের দেশগুলিতে যখন সেরেল্যাক বিক্রি করে তারা, তখন কোনও চিনি ব্যবহার করে না। আবার ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডের দেশগুলিতে চিনির ব্যবহার আরও বেশি। শিশুরা সেখানে প্রতিবার সেরেল্যাক খাওয়ার সময় ৬ গ্রাম চিনি খাচ্ছে।
শিশুদের চিনি খাওয়ানো একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ শিশুদের চিনি খাওয়ালে তারা চিনির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। সব খাবারেই তখন চিনি খোঁজে তারা। এরফলে অল্প বয়সেও ওবেসিটি, ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সেই কারণে আন্তর্জাতিকস্তরেই শিশুদের খাবারে চিনি ব্যবহার করা নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও কিভাবে এমন কাজ করল নেসলে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।