সম্প্রতি একটি মামলার শুনানি চলাকালকীন এলাহাবাদ হাইকোর্ট মন্তব্য করে, ভারতীয় নাগরিকরা নিজের পছন্দের ধর্ম বেছে নেওয়া বা পরিবর্তনের বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন। কিন্তু আইনী প্রক্রিয়া মেনে যেন ধর্ম পরিবর্তন করা হয়। বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের বেঞ্চ মন্তব্য করে, ধর্ম পরিবর্তনের ইচ্ছা সম্পর্কে যেন প্রমাণ পেশ করা হয় আর এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত করা হয়। তবে ঠিক কি-কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা স্পষ্ট করে দেয় আদালত।
বেঞ্চ জানায়, ধর্ম পরিবর্তনের জন্য হলফনামা প্রস্তুত করা বাধ্যতামূলক। এরপর ওই এলাকার বহুল প্রচারিত কোনও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যাতে এই প্রসঙ্গে কারোর কোনও আপত্তি থাকলে সেটা জানা যায়। অবৈধভাবে বা প্রতারণা করে ধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে না, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞাপনে নাম, বয়স ও ঠিকানার উল্লেখ থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করা ন্যাশনাল গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে হবে। গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আবেদন করা হলে বিষয়টি ভালো ভাবে খতিয়ে দেখবে সরকার, তারপরই ধর্মান্তরণের আবেদন ই গেজেটে প্রকাশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ওয়ারিশ আলি নামে এক ব্যক্তি বিবাহ করেছিলেন অঞ্জনী নামে এক কিশোরীকে। কিশোরী ধর্মে হিন্দু ছিলেন। দুজনের ইচ্ছাতেই বিয়ে হয়েছিল। এখন তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পরে আইপিসির বেশ কয়েকটি ধারা ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয় ওয়ারিশ এর বিরুদ্ধে। স্বামী নির্দোষ একথা প্রমাণ করতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অঞ্জনী। ওই মামলার শুনানি চলাকালীনই ধর্মপরিবর্তন সম্পর্কিত রায় দেন বিচারপতি। ভারতে ধর্ম পরিবর্তনে কোনও বাধা না থাকলেও উত্তরপ্রদেশে আইন করে ধর্ম পরিবর্তনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।