সুশান্ত শিং রাজপুতের মৃত্যুর দু বছর পরে তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে দাবি করলেন রূপকুমার শাহ নামে কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী। এতদিন পর ফের উঠে এল সুশান্ত রহস্যমৃত্যু। মৃত্যুর এতদিন পরই বা কেন এই চাঞ্চল্যকর দাবি? তবে কি ফের শুরু হবে ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ আন্দোলন? ইডি, এনসিবি, সিবিআইয়ের তদন্ত কি তবে ভুল? এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে। মূলত মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে সে সময় সুশান্তের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল।
শাহর কথায় সুশান্তের দেহে এবং গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি সে কথা জানিয়েওছিলেন। তবে কর্তৃপক্ষ তখন তাঁকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে সেদিন মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। কাজের সময় শাহ জানতে পারেন যে তাদের একজন হলেন সুশান্ত শিং রাজপুত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো শুধুমাত্র দেহের ছবি তোলা হয়েছিল সেদিন।
শাহর মতে পুরো ময়না তদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা উচিত ছিল। সেদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নাকি সুশান্ত খুন হয়েছেন বলেই জানিয়েছিলেন শাহ। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এখন। সে সময় সুশান্তকে নিয়ে বেশ কিছুদিন সংবাদ মাধ্যমে চলেছিল নানান চাপানউতর। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিনই থাকত ভক্তদের কোনো না কোনো পোস্ট।
২০২০ সালের জুনে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সুশান্তের মৃতদেহ। তিনি আত্মহত্যাই করেছেন, এমনটাই জানা গিয়েছিল প্রাথমিক তদন্তের পর। তখন অবশ্য সুশান্তের পরিবার এটিকে খুন বলেই দাবি করেছিল। এতদিন পর যখন সুশান্তের চ্যাপ্টার ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে ঠিক সে সময়ই উঠে এল এই গভীর চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফের তৈরি হল রহস্যের নয়া মোড়।
আরও পড়ুন