দীপাবলীর পরই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় জগদ্ধাত্রী উৎসবে মেতে উঠেছে রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কমবেশি পূজিত হয়ে থাকেন দেবী জগদ্ধাত্রী। মহানগরীর দুর্গাপুজোর জাঁকজমক আরও একবার ফিরে আসে কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয়। একদিকে চন্দননগরের আলোকসজ্জার মাধ্যমে দেবী প্রতিমাকে বরণ। তো আরেকদিকে কৃষ্ণনগরের আদি মাতৃকা সাজে সেজে ওঠেন জগদ্ধাত্রী। কোথাও ডাকের সাজে সেজে ওঠে না তো কোথাও আবার আধুনিকতার ছোঁয়া দেখা যায় বিভিন্ন মণ্ডপগুলোতে। লক্ষ্য লক্ষ্য দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় রাজ্যের এই দুই শহরে ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তবে শুধুমাত্র চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরই বা কেন? ঠিক একই রকম সাজে সেজে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ। জানা যাচ্ছে, এবার দেখতে দেখতে ২১ তম বর্ষে পদার্পণ করল পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর সবুজ সংঘের জগদ্ধাত্রী পুজো। সকাল থেকেই সেজে উঠতে দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরকে। ২৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল আকন্দি ইয়ং স্টার ক্লাবের জগদ্ধাত্রীর পুজো। ওদিকে এক কথায় মিনি চন্দননগর হয়ে উঠল হাওড়ার রাজাপুর থানার অন্তর্গত বাসুদেবপুর গ্রামকে। জানা যায়, এই অঞ্চলে কালীপুজো এবং অন্যান্য পুজোর তুলনায় জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায় এলাকাবাসীকে।থিমের প্যান্ডেলের পাশাপাশি আলোকসজ্জায় চন্দননগরকে টেক্কা দিতে কোনো অংশে কম যায় না এই এলাকা। তিন কিলোমিটার এলাকা বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দর্শকদের প্রতিমা ও মন্ডপ খোঁজার ব্যস্ততা সন্ধ্যা নামতে চোখে পরে। তবে করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতির কারণেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মন্ডপ পরিদর্শন করতে দেখা গেল রাজ্যবাসীকে।