দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা রামমন্দির আন্দোলনের এককালের অন্যতম প্রধান নেতা লালকৃষ্ণ আডবানিকে দেওয়া হয়েছে দেশের সর্বচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ‘ট্যুইট’ করে আডবানির এই ভারতরত্ন পাওয়ার খবরটি ঘোষণা করেন। তা নিয়েই এবার কটাক্ষ করলেন হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
এক্স-এ পোস্ট করে ওয়াইসি বলেন, ‘ভারতরত্ন পাওয়ার সত্যই যোগ্য দাবিদার এল কে আডবানি। হিংসায় (রথ যাত্রা সংক্রান্ত সাম্প্রদায়িক অশান্তি) যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন সেই সব ভারতীয়দের কবর আর কিছু না হোক রামমন্দির গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সিঁড়ির পাথর হিসেবে কাজ করেছে’। ২২ জানুয়ারি ২০২৪-এ অযোধ্যায় রামমন্দিরের দ্বারোদঘাটন হয়। তবে ১৯৯০–তে আডবানি যে রথ যাত্রার অনুষ্ঠান করেছিলেন তৎকালীন সময়ে ধর্মীয় সহিংসতার জেরে বহু নিরীহ মানুষ শহিদ হন। গুজরাতের সোমনাথ মন্দির থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা অযোধ্যায় শেষ হয়েছিল। ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৫ নভেম্বর শেষ হয়েছিল সেই যাত্রা। আর সেই রথ ভারতীয় রাজনীতির নকশা পালটে দিয়েছিল। হিন্দুত্ববাদের পালে হাওয়া লেগেছিল। যে হাওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচনে বাজিমাত করেছে বিজেপি। অযোধ্যার রামমন্দির প্রতিষ্ঠার মেরেকেটে দু’সপ্তাহের মধ্যে আডবানিকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগে নবতিপর আডবানি ছিলেন বিজেপির পোস্টার বয়। ১৯৯২ সালের বাবরি ধ্বংস গোটা দেশে হিন্দুত্ব ও বিজেপির উত্থানের ভিত্তি ছিল। আডবানিই ছিলেন সেই উত্থানের মূল কান্ডারী। অথচ সেই রামমন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাত্য ছিলেন আডবানি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলে আডবানি ও বিজেপির অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতাদের ‘গাইডেন্স কাউন্সিল’ নামে একটি দলে রাখেন। পরে শুধু মার্গদর্শক হয়েই থেকে যান তাঁরা। তবে লোকসভা ভোটের আগে আডবানিকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে একাংশ।