বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! এই অভিযোগ তুলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁর মতে, ভারতের গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে রয়েছে বিচারব্যবস্থার উপর। সেই বিচারব্যবস্থাকে আঘাত করতে চাইছেন অভিষেক। আগামী সোমবার এ নিয়ে সৌমিত্র এফআইআর দায়েরও করবেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূল পাল্টা সৌমিত্রের অতীত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শাসকদলের মতে, জেলাশাসক এবং শীর্ষ আধিকারিকদের তুইতোকারি করে কথা বলা সৌমিত্র যদি সংবিধান বাঁচাতে নামেন, তাতে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
পাশাপাশি, অভিষেককে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করে তাঁকে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, “এক জন সাংসদ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বলবেন, আমি হলে গুলি চালিয়ে দিতাম! কখনও কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে যা খুশি বলবেন! এতে ভারতের গণতন্ত্র ভেঙে পড়বে।” তাঁর মতে, ভারতের গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে রয়েছে বিচারব্যবস্থার উপর। তাই এ ধরনের কথা বলার আগে ভাবা উচিত। সৌমিত্র বলেন, “স্পিকারের কাছে অনুরোধ, যে ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলেন, তাঁকে সাসপেন্ড করা”।
সৌমিত্রের এই চিঠিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “সৌমিত্র খাঁ নিজে তিন বার নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন তিনটি দলের হয়ে। নিজের সংসার সামলাতে পারেন না। সেই তিনি এখন বড় বড় কথা বলছেন। কিছু দিন আগে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং শীর্ষ আধিকারিকদের তুইতোকারি করে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সেই সৌমিত্র এখন সংবিধান বাঁচাতে নেমেছেন! এমন মানুষের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না তৃণমূল কংগ্রেস।” উল্লেখ্য, শুক্রবার বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিষেক বলেন, “বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন।” অভিষেক এ-ও বলেন, যদি এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে জেলে যেতে হয়, তা হলে তিনি ১০ হাজার বার জেলে যেতেও রাজি! কিন্তু তিনি সত্য বলবেনই।