করোনার গ্রাফ ফের ঊর্দ্ধমুখী, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। ১ এপ্রিল থেকে গত দশ দিনে রাজ্যে সংক্রমণ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে চিন্তিত সকলেই,উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশনও । চতুর্থ দফার ভোট শুরুর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই , শুক্রবার কমিশন কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এইভাবে চলতে থাকলে সভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করার পথে যাবে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্বের নির্দেশ না মানা হলে প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট তারকা প্রচারকের সভা ও রোড শো নিষিদ্ধ করা হবে।
বলাই বাহুল্য, কোভিড সংক্রমণ ও মৃত্যু, এই দুইয়ের নিরিখে গতবছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শীর্ষে কলকাতা শহর। অন্তত রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী তাই জানা যাচ্ছে।বিশ সালের ভয়াবহ রূপ আবারও ফিরে আসছে একুশে । এমতাবস্থায় করোনা সংক্রমণ রুখতে আগেরবারের মতোই কোমরবেঁধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। আগামী সপ্তাহেই স্বাস্থ্যদপ্তর ও কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়ে মহানগরের ঘনবসতি এলাকা গুলোতে করোনা পরীক্ষার জন্য ফের বুথ গঠন করেছে। তথ্য বলছে, গতবছরের ১৫ অক্টোবর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৭২০। তবে সেই সময়ে দৈনিক কোভিড পরীক্ষা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছিল।
এখন করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে কিন্তু সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, চিন্তিত স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁরা দুষছেন রাজনৈতিক প্রচার, মিটিং, মিছিল অর্থাৎ আট দফা লম্বা ভোটকে|নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সঠিক নির্দেশিকা মেনে চলছে না রাজনৈতিক দলগুলি। যদি দেখা যায়, সভায় বা মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা মাস্ক পরছে না এবং মঞ্চে নেতারা শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করছেন না তাহলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তারকা প্রচারকের সভা ও রোড শো বিনা নোটিসেই নিষিদ্ধ করা হবে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এখনও বিধানসভা ভোট শেষ হওয়া বাকি। রাজ্যে পরবর্তী চার দফার প্রচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে যে সতর্ক হতেই হবে তা এদিন রাতের নির্দেশিকায় স্পষ্ট। কিন্তু বড় বড় সভার ক্ষেত্রে করোনাবিধি মানা আদৌ কতটা সম্ভবপর তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে|