বিহারের রাজনৈতিক মহলে আজ চরম ব্যস্ততা। এক কথায় ‘সুপার সানডে’। সব জল্পনা সত্যি করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার। সব ঠিক থাকলে আজকেই শপথ নিতে পারেন তিনি। তবে এবার সঙ্গী বিজেপি । এই নিয়ে মোট ৯ বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি । রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ আরলেকারের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। এখন কিছুক্ষণের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছবেন বিজেপি বিধায়করা। গত কয়েকদিন ধরেই বিহারের রাজনীতিতে ডামাডোল চলছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, লালু-রাহুলের হাত ছেড়ে আবার মোদি-শাহের হাত ধরবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার সকালে সেই জল্পনাই সত্যি হল।
সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলেই জেডিইউ এবং বিজেপির তরফে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ। ইতিমধ্যে পটনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
সূত্রের খবর, তাঁর উপস্থিতিতেই রবিবার বিকেল থেকে নতুন ইনিংস শুরু করবেন নীতীশ। সেখানে যাচ্ছেন জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার বিধায়করাও।
সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লালুপ্রসাদের আরজেডি ও কংগ্রেস। যদিও নীতীশের দিকেই পাল্লা ভারী জিতনরামের। নীতিশে বাসভবনের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন সেই দলের বিধায়করা।
এদিন সাংবাদিক দের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল না। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছিলাম। নানা জায়গা থেকে শুনছিলাম। ঠিকমতো সরকার চলছিল না। এবার ইস্তফা দিয়ে দিলাম। সরকার সমাপ্ত হল।’
লোকসভা নির্বাচনে শক্তিশালী বিজেপির সঙ্গে লড়াই করার কয়েক মাস আগে তার পদত্যাগ বিরোধী ব্লকের জন্য একটি বিশাল ধাক্কা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নীতীশ কুমার অবশ্য বলেছিলেন, তিনি মরে গেলেও আর কখনও বিজেপিতে যোগ দেবেন না। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন নীতীশের জন্যে বিজেপিতে কোনও জায়গা নেই। সেই ভিডিও আজ ভাইরাল।