রোজই নদীতে ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ। সরকারি হিসাব মত সংখ্যাটা ৪০-৫০ হলেও স্থানীয়দের কথায় তা পেরিয়েছে ১০০। গত কয়েকদিন ধরেএমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী বিহার-উত্তর প্রদেশ। এই দুই রাজ্যে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে ভেসে আসছে অজস্র মৃতদেহ। যোগী রাজ্যের হামিরপুর জেলায় এমন ভয়াবহ দৃশ্য ধরা পড়েছে রবিবার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থা দেশজুড়ে। এই অবস্থায় ভেসে আসা মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই আশঙ্কা থেকেই ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকায়। ভেসে আসা মৃতদেহগুলির চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুরেরা, যার ফলে বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সূত্রের খবর, স্থানীয় প্রশাসনই নাকি সিদ্ধান্ত নেয় মৃতদেহগুলোকে নদীতে ফেলে দেওয়ার। উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় মৃতদেহ যমুনা নদীতে ভাসিয়েও দিতে দেখা গেছে মানুষকে। এই ঘটনায় যোগী সরকারের দিকে আঙুল তুলে কংগ্রেসের অভিযোগ করোনায় মৃতের সংখ্যাকে ঢাকতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-10-at-20.39.57.jpeg)
অন্যদিকে আবার একই রকম ছবি বিহারের কাটিহারে। সেখানে নদীতে প্রায় শতাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। হাসপাতলে করোনায় মৃতদের বেওয়ারিশ লাশ নদীতে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চৌসার প্রশাসনিক আধিকারিক অশোক কুমার জানান, “৪০-৫০টি মৃতদেহ ভেসে আসতে দেখা গিয়েছে মহাদেব ঘাটে।”তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সংখ্যাটা ১০০। অপর এক আধিকারিক কেকে উপাধ্যায় বলেন, “অন্তত ৫-৭ দিন ধরে জলে ফেলা হয়েছে মৃতদেহগুলিকে। আমরা সৎকারের ব্যবস্থা করছি। উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ, বারাণসী না কি এলাহাবাদ থেকে মৃতদেহগুলি ভেসে এসেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
পুরো ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।