ভোট-পরবর্তী রাজ্যে হাতেগোনা কয়েকটি শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে, হয়নি কোন ধর্ষণ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের রিপোর্টের সঙ্গে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছে মোট ২৯ জন। এদিকে মানবাধিকার কমিশন বলছে ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে ধর্ষিত হয়েছে ১৪ জন আর খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৫২ টি।ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলাকারীদের আইনজীবী জেঠমালানি সোমবার হাইকোর্টের রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন। অপরদিকে সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল অভিযোগ করেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন মেনে কাজ করেনি। তিনি আরও বলেছেন, আইন মেনে কাজ না করার কারণেই তাদের রিপোর্টে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
২০২১ এর বিধানসভা ভোটে শাসক দলের জয়ের পর বিরোধীদের উপর অকথ্য অত্যাচার এর কাহিনী তুলে ধরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর তখনই এই ঘটনা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পেয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও কমিশনের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করেছিল মানবাধিকার কমিশন। ওই রিপোর্টে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে আখ্যা দিয়েছিল কমিশন।”খুন ও ধর্ষণ নিয়ে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে। রাজ্য পুলিশ রিপোর্ট দিয়েছে তার সঙ্গে কমিশনের রিপোর্টের ৬০% ব্যবধান রয়েছে। পুলিশ বলছে কোন ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েনি অথচ নির্যাতিতাদের মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” সোমবার অভিযোগকারীদের আইনজীবী আদালতে এমনটাই বলেছেন।অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, “১৯৯৩ এর আইন অনুযায়ী তদন্ত করেনি কমিশন।কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সরকারের আইনজীবী।