উৎসবের মরশুমে বিষমদের জেরে বিহারে মৃ্ত্যুমিছিল যেন ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। বিষমদের কারণে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসুস্থ বহু। বিহারের গোপালগঞ্জ ও পশ্চিম চম্পারণ জেলায় গত দু’দিন ধরে বেড়েই চলেছে বিষমদ পানের ফলে মৃতের সংখ্যা। যার জেরে চিন্তিত প্রশাসন। বিহারের বাকি জেলার মতো এই দুই জেলাতেও মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও ঘটে চলেছে এই ধরনের বিষমদের রমরমা কারবার। সম্পূর্ন ড্রাই স্টেট হিসেবেই পরিচিত নীতীশ কুমারের বিহার। মুখ্যমন্ত্রীর পদ লাভের পরেই ২০১৬ সালে বিহারকে মদমুক্ত করার উদ্যোগ নেন তিনি। সেই থেকেই বিহারে মদ নিষিদ্ধবস্তু হিসেবে পরিচিত। তবে বিহারের গ্রামে-গঞ্জে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বিক্রি বাড়ছে এই বিষমদের।
গত জুলাইয়েও সেই রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আশেপাশের গ্রামগুলিতেও সেইসময় ঘটে মৃত্যুর ঘটনা। যা বেশ শোরগোল ফেলেছিল রাজ্যে। ঘটনার গুরুত্ব পর্যবেক্ষণ করে তদন্তের নির্দেশও দেয় প্রশাসন। দীপাবলিতেও ফের ফিরল সেই একই বিপদ। বৃহস্পতিবার বিহারের পশ্চিম চম্পারণের তেলহুয়া গ্রামে বিষমদ পান করে মারা যান ৮ জন। গোপালগঞ্জেও বহু লোক বিষমদের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখানে আজ মারা গিয়েছে ১৬ জন। অনেকেরই দাবি, মদমুক্ত বিহারে উৎসবের ঝলমলে আলোর আড়ালে চলে বেআইনি মদের ব্যবসা রমরমিয়ে। সেই কারণেই বাড়ছে এ ধরনের বিপদ। কিন্তু কীভাবে চোরাপথে বিক্রি হচ্ছে মদ , সেদিকে নজরদারি বাড়াচ্ছে প্রশাসন।