বদলে গেলো উপনির্বাচনের দিন। সামনেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ মোট ১৪টি রাজ্যের ৪২টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। অথচ এরই মধ্যে সোমবার কয়েকটি আসনে উপনির্বাচনের দিন বদল করল নির্বাচন কমিশন। বিবিধ উৎসব থাকায় ১৩ নভেম্বরের বদলে তা ২০ নভেম্বর করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কংগ্রেস, বিজেপি, বিডিপি, আরএলডি-সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের দলের পক্ষ থেকে ১৩ তারিখ ভোট না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করে নির্বাচন কমিশন। বেশ কয়েকটি উৎসব থাকায়, ওই দিন ভোটগ্রহণ করা হলে বুথে ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই সবদিক বিবেচনা করে এই দিন বদল বলে জানিয়েছে কমিশন।
৪২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গেরও ৬টি বিধানসভা আসনে ভোট হওয়ার কথা। তবে, পশ্চিমবঙ্গের আসনগুলির উপনির্বাচনের দিন একই থাকছে। তালডাংরা, সিতাই, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও মাদারিহাটে আগের মতোই ১৩ নভেম্বরই ভোট হবে। বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি কার্তিক পূর্ণিমার স্নানকে সামনে রেখে এই তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিল। এই বিষয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন ‘টালেঙ্গে তো হারেঙ্গে’। সপা প্রধান বলেন, বিজেপি যদি ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেয়, তবে তারা আরও খারাপভাবে হারবে।
অখিলেশ বলেন, বিজেপিকে আগে এত দুর্বল অবস্থায় কখনো দেখেননি তিনি। বিজেপি হারের ভয়ে এই ভোট পিছিয়েছে। ইউপিজুড়ে দিন দিন বাড়ছে বেকারত্ব। কোথাও কোনো কর্মসংস্থান নেই। রাজ্যের লোক বিজেপির বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছে। তারা ভোটে জবাব দিতে চাইছে। দীপাবলি ও ছটের ছুটিতে ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছিলেন ইউপির বাসিন্দারা। সবাই ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন। যখন বিজেপি খবর পেলো যে যারা ভিন রাজ্য থেকে এসেছে তারা বেশিরভাগই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেবে, তখনই তারা উপনির্বাচনের দিন পিছিয়ে দিল। তারা এমন কৌশল করল যাতে লোকজনের ছুটি শেষ হয়ে যায় এবং তারা ভোট দেওয়ার আগেই ফিরে যেতে বাধ্য হন। অভিযোগ অখিলেশের।